বলিউডের অন্যতম সুদর্শন এবং প্রতিভাবান অভিনেতা হৃতিক রোশন, যিনি তার ব্যতিক্রমী নাচ আর অভিনয় দক্ষতার জন্য গোটা বলিউড জগতে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই সুপারস্টারকে।
কিন্তু জানলে অবাক হবেন, হৃতিকের জীবন সবসময় এত সহজ ছিল না। মাত্র ২১ বছর বয়সে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছিলেন, স্কোলিওসিস নামক রোগের কারণে তিনি আর কোনোদিন নাচতে পারবেন না। ভাবুন একবার, যাকে আজ আমরা বলিউডের সেরা নৃত্যশিল্পী হিসেবে জানি, তার জীবন একসময় এত অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল!
তবে হৃতিক হার মানেননি। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাসের জোরে তিনি নিজেকে আবার সুস্থ করে তোলেন এবং পরবর্তীতে বলিউডের আইকনিক নৃত্যশিল্পীদের একজন হয়ে ওঠেন।
এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ জানিয়েছে, এক সময় হৃতিক ছিলেন এক দারুণ ধূমপায়ী। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, একটি বই পড়েই ধূমপানের নেশা ছাড়তে পেরেছিলেন তিনি! বইটির নাম, ‘হাউ টু স্টপ স্মোকিং’। এই বই পড়ে তিনি পুরোপুরি ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটি বাস্তবায়ন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে হৃতিকের ডাকনাম ‘ডুগ্গু’, যা আদর করে রেখেছিলেন তার দাদি। মজার ব্যাপার হলো, তার বাবা রাকেশ রোশনকেও দাদি আদর করে ডাকতেন ‘গুড্ডু’ নামে। হৃতিকের বাবার গল্পটাও কম চমকপ্রদ নয়। একসময় নিজেও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন রাকেশ রোশন, যিনি এখন সফল নির্মাতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
হৃতিক ছোটবেলায় বাবাকে সিনেমার কাজে সাহায্য করতেন। সে সময় স্টুডিওতে চা দেওয়া থেকে শুরু করে মেঝে ঝাড়ু দেওয়া, সব রকম কাজ করেছেন তিনি। সেই পরিশ্রমই আজকের হৃতিক রোশনকে গড়ে তুলেছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হৃতিকের জীবনের প্রতিটি ধাপ যেন এক একটা অনুপ্রেরণার গল্প। অসুস্থতা, আসক্তি আর জীবনের কঠিন সময়কে হার মানিয়ে আজ তিনি বলিউডের সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন।