গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম, ধুলাবালি ও ঘামের কারণে শিশুর কোমল ত্বকে ঘামাচি, র্যাশ ও চুলকানির মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই এই সময়টাতে শিশুর ত্বকের জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন ও সচেতনতা। চিকিৎসকদের মতে, কিছু নিয়ম মেনে চললেই শিশুর ত্বককে রাখা যায় সুস্থ ও সতেজ।
১. নিয়মিত গোসল করানো
প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে গোসল করালে ত্বকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং শিশুর ত্বক থাকে পরিষ্কার। তবে হালকা ও শিশুবান্ধব সাবানই ব্যবহার করা উচিত।
২. সঠিক পোশাক নির্বাচন
শিশুর আরামের জন্য ঢিলেঢালা, সুতির এবং হালকা রঙের পোশাক পরানো উচিত। সিনথেটিক বা আঁটসাঁট পোশাক ঘাম ধরে রাখে এবং ঘামাচির ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. ঘামাচি প্রতিরোধে পাউডার
গোসলের পর ঘাড়, বগল, পিঠ ও কুঁচকিতে হালকা মেডিকেটেড বা বেবি পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. রোদের সময় বাইরে না নেওয়া
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তীব্র রোদে শিশুকে বাইরে নেওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। প্রয়োজনে ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুবান্ধব সানস্ক্রিন লাগানো যেতে পারে।
৫. শরীর হাইড্রেট রাখা
গরমে শিশুদের প্রচুর ঘাম হয়, তাই বয়স অনুযায়ী পরিমাণমতো পানি, ডাবের পানি বা ফলের রস (৬ মাসের বেশি বয়স হলে) দিতে হবে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য শুধুই বুকের দুধই যথেষ্ট।
-
মশার কামড় থেকে সুরক্ষা
মশার কামড়ে র্যাশ বা ইনফেকশন হতে পারে। তাই মশারি ব্যবহার, আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং বাইরে গেলে বেবি-ফ্রেন্ডলি মশা প্রতিরোধী লোশন বা স্টিকার ব্যবহার করা জরুরি।
৭. ডায়াপার র্যাশ প্রতিরোধে সচেতনতা
ঘন ঘন ডায়াপার পরিবর্তন করা, জায়গাটি পরিষ্কার ও শুকনো রাখা এবং প্রয়োজনে জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত র্যাশ ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
৮. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই একটুও অবহেলার সুযোগ নেই। নিয়মিত যত্ন ও সচেতনতা শিশুকে গরমকালেও রাখতে পারে সুস্থ ও স্বাচ্ছন্দ্যে।