নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও দেশের মহাসড়কগুলোকে নিরাপদ করতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। দিনে কিংবা রাতে—কোনো সময়েই যাত্রা নিশ্চিতভাবে নিরাপদ নয়। আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ঈদ উপলক্ষে গরুবাহী পরিবহন রাজধানীমুখী হওয়ায় বাড়ছে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঝুঁকি। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পশু ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়ার গরু ব্যাপারী জয়নাল আবেদীন বলেন, “আগেও মাঝরাস্তায় ট্রাক থামিয়ে গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার যেন নিরাপদে গরু ঢাকায় আনতে পারি, সে নিশ্চয়তা চাই।”
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, জনবল সীমিত হলেও আটটি মহাসড়কে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা টহল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫০ কিলোমিটারজুড়ে বসানো হয়েছে আধুনিক সিসি ক্যামেরা। চালু করা হয়েছে গভীর রাতের বিশেষ টহল, মাইকিং ও জনসচেতনতামূলক পোস্টারিং। তবুও দমছে না অপরাধ।
বিশেষ করে ডাকাতির পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং বাসচালক ও সহকারীদের জড়িত থাকার বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের কাছে গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
পুলিশ আরও জানায়, ৫ আগস্টের পর অনেক ডাকাত মামলার আসামি জামিনে ছাড়া পেয়েছে। জামিনে মুক্ত হওয়া এসব অপরাধী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে।