সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১২১.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
টানা বৃষ্টির ফলে জেলার নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। গৃহস্থালি শ্রমিক ও দিনমজুরদের জীবিকা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির প্রভাবে সবজি খেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে চাষিরা। একইভাবে মাছের ঘেরেও পানি ঢুকে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।
উপকূলীয় নদী তীরবর্তী এলাকায় পূর্ববর্তী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেরিবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোকালয় ও কৃষিজমি প্লাবিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপকূলজুড়ে আরও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাছ ধরা নৌযান ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ জনগণকে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।