Ridge Bangla

চার কেজি ওজনের বিশাল শিঙাড়া, কিশোরগঞ্জে আলোচনার ঝড়

গরম তেলে ভাজা, মচমচে শিঙাড়ার স্বাদই আলাদা। আর সেই শিঙাড়াই যদি হয় চার কেজি ওজনের, তাহলে তো কৌতূহলের সীমা থাকে না! কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এমনই একটি বিশাল আকৃতির শিঙাড়া তৈরি হয়েছে, যা ঘিরে এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়।

পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আহুতিয়া পুরাতন বাজারে অবস্থিত ‘মায়ের দোয়া’ হোটেলে এই ব্যতিক্রমী শিঙাড়াটি তৈরি হয়। হোটেল মালিক স্বপন মিয়ার সঙ্গে পরিকল্পনা করে একই গ্রামের পাঁচ বন্ধু—মোফাজ্জল হোসেন, অন্তর মিয়া, মিজানুর রহমান, টুটুল মিয়া ও দিদার আহমেদ—এ উদ্যোগ নেন।

তারা চেয়েছিলেন কিছু ব্যতিক্রম করতে, আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় চার কেজির শিঙাড়ার ধারণা। পুরো একটি দিন লেগে যায় দুটি বিশাল শিঙাড়া তৈরি করতে। এতে ব্যবহৃত হয় চার কেজি মুরগির মাংস, প্রচুর আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও নানা রকম মসলা। বিশাল আকারের আলুর পুর ভরা তিন কোণা শিঙাড়াটি পরে ডুবো তেলে ভাজা হয় মচমচে করে।

মূল আয়োজন ছিল রোববার বিকেলে। শিঙাড়া ভাজার সময় হোটেলের সামনে ভিড় জমে যায়। আশপাশের লোকজন কৌতূহল নিয়ে দেখতে আসেন। প্রতিটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়ে এক হাজার টাকার ওপরে, সব মিলিয়ে ব্যয় হয় প্রায় আড়াই হাজার টাকা।

পরিকল্পনাকারী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একটু ব্যতিক্রম কিছু করার চিন্তা থেকেই এটা করেছি। খেতে দারুণ লেগেছে, আর সবচেয়ে বড় কথা সবাই মিলে অনেক মজা করেছি।”

স্থানীয় মুহিবুল্লাহ বলেন, “এত বড় শিঙাড়া জীবনে দেখিনি। কীভাবে বানানো হচ্ছে তা দেখতে এসেছি। দারুণ লাগছে।”

হোটেল মালিক স্বপন মিয়া বলেন, “আমার নিয়মিত পাঁচজন ক্রেতার আবদার ছিল এটা। একটু ঝামেলা হলেও তাদের আনন্দ দেখে আমি খুশি। চাহিদা থাকলে আবার বানাবো।”

এই বিশাল শিঙাড়া শুধু খাবার নয়, হয়ে উঠেছে এক আনন্দের উপলক্ষ। বন্ধুদের ব্যতিক্রমী ভাবনা ও হোটেল মালিকের সহযোগিতায় এলাকাবাসীর মুখে ফুটেছে হাসি, আর শিঙাড়াটি জায়গা করে নিয়েছে স্থানীয়দের গল্পে ও স্মৃতিতে।

আরো পড়ুন