রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। বুধবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, একটি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনের এক সদস্যের পরিকল্পনায় এ হামলা সংঘটিত হয়েছে। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে নাশকতা চালানো। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মারধর এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৭ এপ্রিল উত্তরায় বিআরটিসির একটি ট্রাকের ধাক্কায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উত্তরা পশ্চিম থানায় যান এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি জানান।