চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্কের প্রভাব ইতোমধ্যেই মার্কিন বাজারে পড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই শুল্কের কারণে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা চরম আর্থিক চাপের মুখে পড়বে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার চীনা পণ্যবাহী প্রথম চালান নিয়ে একটি জাহাজ ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে নোঙর করে। বন্দরের নির্বাহী পরিচালক জিন সেরোকা বার্তা সংস্থা সিএনএন-কে জানান, শুল্ক আরোপের পর আমদানির পরিমাণ ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। অতিরিক্ত খরচের কারণে অনেক আমদানিকারক তাদের অর্ডার বাতিল করছেন, ফলে বাজারে এইসব পণ্যের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে।
জিন সেরোকা আরও জানান, মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে ৮০টি জাহাজ আসার কথা থাকলেও এর মধ্যে ২০ শতাংশ ইতোমধ্যে বাতিল হয়েছে। জুন মাসের জন্যও আরও ১৩টি শিপমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
খুচরা বিক্রেতা এবং আমদানিকারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগের তুলনায় এখন একই ধরনের পণ্যের দাম প্রায় আড়াই গুণ বেশি পড়ছে। এই মূল্যবৃদ্ধি সরাসরি মার্কিন ভোক্তাদের ওপর চাপ ফেলছে।
ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (NRF) আশঙ্কা করছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে আমেরিকার সামগ্রিক আমদানি কমপক্ষে ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে, যার বড় অংশই চীন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে ঘটবে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এই হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্তও পৌঁছাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।