Ridge Bangla

সাম্য হত্যা: তদন্তের অগ্রগতি জানতে উপাচার্যের সঙ্গে ঢাবি সাদা দলের বৈঠক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত হত্যাকারীর গ্রেপ্তার ও বিচারের অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাবির শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’।

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিস সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও ড. মো. আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, আইবিএ’র অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ এবং স্যার পি. জে. হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এম এ কাউসারসহ প্রায় ১০০ শিক্ষক।

সাদা দলের নেতৃবৃন্দ জানান, তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য। সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় তারা উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেন।

প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তিনি বলেন, “সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।” এ প্রসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন। ইতোমধ্যে ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগামীকাল (২২ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপি) সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান উপাচার্য।

বৈঠক শেষে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, “সাম্য আমাদের সন্তান, আমাদের শিক্ষার্থী। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে—এটি পরিকল্পিত হত্যা। সাধারণ কারও পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের কাছে আপডেট জানতে এসেছিলাম। যদি প্রশাসনের পদক্ষেপে আমরা সন্তুষ্ট না হই, তাহলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবো। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি।”

আরো পড়ুন