রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার, জবাবদিহিতার অভাব ও বিদেশি জনবল নিয়োগের যথেচ্ছাচার ঘিরে বিরাজ করছে তীব্র অস্থিরতা। সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৪টি সভা করে একটি আংশিক সার্ভিস রুল তৈরি করেন। এতে শুধুমাত্র শৃঙ্খলাবিধি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির নিরাপত্তা, আর্থিক সুবিধা বা অন্য সুযোগ-সুবিধার কোনো উল্লেখ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
এর পাশাপাশি, নিয়মিত পদোন্নতির প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেউ মত প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে শোকজ, সতর্কীকরণ, স্ট্যান্ড রিলিজ কিংবা মৌখিকভাবে বরখাস্তের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানজুড়ে ভয়, আতঙ্ক ও চরম অসন্তোষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদুল হাছানের বিরুদ্ধে। তিনি আইন লঙ্ঘন করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল)-কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বাপশক) থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছেন। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে বাপশককে পাশ কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, যা দেশের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও আইনগত কাঠামোর জন্য মারাত্মক হুমকি।

বিশ্বস্ত সূত্র জানা গিয়েছে, রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত দেশীয় জনবল রাশিয়ার বিশেষায়িত প্রশিক্ষণে সুদক্ষ হয়ে উঠেছে। কিন্তু দেশের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করতে একটি প্রভাবশালী মহল দেশীয় জনবলকে উপেক্ষা করে বিদেশি জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা অপচয়ের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত দেশীয় জনবলের মনোবল ভেঙে পড়ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের অব্যবস্থাপনা, আইন লঙ্ঘন ও দলীয়করণ রূপপুর প্রকল্পের ভবিষ্যৎকে চরমভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে, যা জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অভিযোগ আছে, এই ষড়যন্ত্র আড়াল করতে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে মানববন্ধন করিয়ে প্রকৃত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের দোষারোপ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আইন’ প্রণয়নের মাধ্যমে এনপিসিবিএল প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ২০১৮ সালে এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস রুল বা চাকরি সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এতে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি, পদোন্নতি, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। ফলে কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাছান (যিনি একইসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক, স্টেশন ডিরেক্টর, মানবসম্পদ প্রধান, প্রশাসনিক প্রধান ও হিসাব প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন) স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তার অনুমতি ছাড়া কেউ পদোন্নতি পাবে না। এতে স্বাভাবিক পদোন্নতির পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন প্রকৌশলীরা। ২০২৪ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কর্মপরিবেশ, মূল্যায়নের স্বচ্ছতা ও ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে চলা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জবাবে কর্তৃপক্ষ ২৬ জন প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ ও বিদেশি প্রশিক্ষণের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপে কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন, এটি পরিকল্পিতভাবে দেশীয় জনবলকে দুর্বল করার কৌশল।
আইন অনুযায়ী, রূপপুর প্রকল্প ও এনপিসিবিএল-এর নিয়ন্ত্রণ বাপশকের হাতে থাকার কথা। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব মিলে এনপিসিবিএলকে আলাদা করে পিডিবির (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করতে চাইছেন। এর ফলে প্রকল্পের মালিকানা ও প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর নির্দেশনার পরিপন্থী। ফলে ভবিষ্যতে কূটনৈতিক জটিলতা ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
একজন ব্যক্তি যখন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন, তখন প্রকল্পের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা হুমকির মুখে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান বর্তমানে একাই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এই স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রকল্পে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও বাস্তবায়নে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। একই চিত্র ছিল তার পূর্বসূরি ড. শৌকত আকবরের সময়েও, যার বিরুদ্ধে অডিট রিপোর্টে গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৩৫ নং অডিট রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে কোম্পানির (এনপিসিবিএল) নানা অব্যস্থাপনা সম্পর্কে। এনপিসিবিএল বোর্ডের ০১ থেকে ২০৩ তম সভার (২৩-০৮-২০১৫ থেকে ৩১-১২-২০২৪) কার্যবিবরণী যাচাই করে দেখা গিয়েছে, কোম্পানি যেসকল কার্যাবলী সম্পাদন করার কথা ছিল সেসব সংক্রান্ত কোনো আলোচনা দেখা যায়নি। অথচ প্রতি বোর্ড সভায় সম্মানী ও অন্যান্য খরচ বাবদ ঠিকই ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
৪০ নং অডিট রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের (১ম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ শৌকত আকবর কোম্পানিটির প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১ম পর্যায়ের প্রকল্প শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ২য় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পুনঃনিয়োগ না করায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আইন ২০১৫ এর ৯(৪) ধারার আলোকে ১-১২-২০১৭ থেকে ১৭-০৮-২০২০ পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার কর্মকাল বৈধতা হারায়। ওদিকে ১৮-০১-২০২৪ থেকে ১৩-০৫-২০২৪ পর্যন্ত তিনি একইসাথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এর চেয়ারম্যানের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করেন, যার ফলে প্রকল্প ও কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।
ড. জাহেদুল হাছানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি ঠিকাদারদের স্বার্থে কাজ করছেন, আর্থিক লেনদেনকে অস্বচ্ছ করে তুলেছেন, এবং প্রকল্পে দলীয়করণকে উৎসাহ দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। অন্যদিকে সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধেও রয়েছে দলীয় পক্ষপাত, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিযোগ। তিনি সাবেক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু মন্ত্রীর সহায়তায় সিনিয়র সচিব হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে প্রকৃত বিজ্ঞানীরা বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
প্রকল্পে ভিন্নমত প্রকাশ করলেই চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৮ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে এবং ৯ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা রিজ বাংলাকে জানিয়েছেন, ড. জাহেদুল হাছানের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি বলেন, “তোমাদের চাকরি তো খেয়ে দিলাম, এইবার যাও সায়েরের কাছে, দেখো কোনো চাকরি দিতে পারে কিনা।” চাকরিচ্যুত প্রকৌশলীরা মনে করেন, এমডি জাহেদুল হাছানের অধীনে প্রকল্প নিরাপদ নয়, এবং তিনি কোনো দক্ষ উত্তরসূরি তৈরি করতে পারেননি। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ২৯ মে, কিন্তু ঠিকাদারদের চাপে তার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

মো. মোকাব্বির হোসেন প্রশাসন ক্যাডারের দশম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা (পরিচিতি নং: ৫৫৪৮)। দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার পদোন্নতি লাভ করেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথেও তার ছিল গভীর সম্পর্ক। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সচিব ও পরবর্তীতে সিনিয়র সচিব পদে উন্নীত হন তিনি।
তার প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন। এই পদে তার নিয়োগ ঘিরে রাজনৈতিক প্রভাব, ঘুষ, ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিমানের এমডি হিসেবে তার নিয়োগপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া নিয়েও অসঙ্গতির অভিযোগ আছে। জানা যায়, ৭০ জন প্রার্থী আবেদন করার পরও বোর্ডের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে রাজনৈতিক সুপারিশে মোকাব্বির হোসেনকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের পদমর্যাদা ও প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ করেন এবং বিমানের দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী ছিলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানানো হয়, তার সময়ে নিয়োগ, প্রকল্প অনুমোদন ও কার্যাদেশে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে।

অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে, ছোট পর্দার আলোচিত মুখ শমী কায়সারের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ধানসিঁড়ি’ ও মৃণাল কান্তির ‘এক্সিকিউশন’-এর মাধ্যমে শাহজালাল বিমানবন্দরে গত ১৫ বছর প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেন মোকাব্বির হোসেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য ২০২২ সালে বিমান মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেয় দুদক। যে রহস্যজনক কারণগুলোর জন্য সেই তদন্ত বেশি দূর এগোয়নি, মোকাব্বির হোসেনের তদবির সেসবের মাঝে অন্যতম, অর্থাৎ বেবিচকে থেকে তখন বিমানে চলে গেলেও মোকাব্বির হোসেন ঠিকই তার প্রভাব খাটিয়েছেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সচিব পদে পদোন্নতির পর তিনি ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, পরবর্তীতে সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং সর্বশেষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি এ সকল পদে অধিষ্ঠিত হন এবং প্রশাসনে দলীয়করণের অংশ হিসেবে কাজ করেন।
২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিতে সমস্ত কর্মকর্তাকে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তাকে ‘কট্টর আওয়ামীপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করে। বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে অনুগত ও দলীয় ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মোকাব্বিরের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মালা খানের ব্যাপারে রয়েছে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক পদার্থ, আসবাবপত্র ক্রয় এবং অন্যান্য খাতে প্রায় ২৮ কোটি টাকা দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে মালা খানের নামে। এতকিছুর পরেও মোকাব্বির হোসেন মালা খানকে মহাপরিচালক পদে রাখার জন্য জোর চেষ্টা ও তদবির করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) এর মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহর ব্যাপারে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দুর্নীতির বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। মোকাব্বির হোসেন তাকেও স্বপদে বহাল রাখার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা কিছু বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অভিযোগ এনে এখন অযথা হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।