বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ বর্তমানে এক অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনো দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার ও সংসদ গঠন করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার সম্পন্ন করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তার সূচনা করেছে বিএনপি। আমরা সবসময় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছি। আমাদের দাবি, এই সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন।”
তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ দেশে যত গণমাধ্যম আছে, তার পেছনে রয়েছে তারই সংস্কারমূলক উদ্যোগ।”
শ্রমিকদের অবস্থার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চিত শ্রেণি হলো শ্রমিক সমাজ। তারা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পায় না। যুগ পরিবর্তন হলেও তাদের জীবনে সেই পরিবর্তন আসেনি। শহীদ জিয়াউর রহমান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার আমাদের দাবি, আমাদের সৃষ্টি। এমন কঠিন সময়েও আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি—যেসব সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। আর যেসব বিষয়ে মতভেদ আছে, সেগুলো নির্বাচনের পর সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।”
শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা একটি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় পার করছি। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে বললেও এখনো প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়নি, নির্বাচন দিতে পারিনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। তাই এখনই সময়, একটি দ্রুত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার।”