Ridge Bangla

লালমনিরহাটে বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষে সাফল্য

রান্না ও মিষ্টান্ন তৈরির পরিচিত উপাদান তেজপাতা এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লালমনিরহাটে। ঔষধি গুণসম্পন্ন এই মসলা ফসল আগে সীমিত পরিসরে আঙিনা বা বাগানে চাষ হলেও এখন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।

লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলা এবং দুটি পৌরসভা মিলিয়ে অন্তত ৪৫টি ইউনিয়নে তেজপাতা চাষ হচ্ছে। একটি গাছ থেকে বছরে দুবার পাতা সংগ্রহ করা যায়, ফলে কৃষকরা সহজেই লাভবান হচ্ছেন।

চাষপদ্ধতি সহজ এবং উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। জমি প্রস্তুতের পর তেজপাতার চারা রোপণ করতে হয়। বছরে মাত্র দুইবার সার প্রয়োগ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। রোগবালাইও খুব কম দেখা দেয়।

ফুলগাছ গ্রামের চাষি নুর আমীন বলেন, “তেজপাতা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। বসন্তকালে কিছু পোকা লাগে, তবে একটি স্প্রেতেই তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
আরেক চাষি আফসার আলী বলেন, “এটি সাথী ফসল হিসেবেও চাষযোগ্য। অর্থাৎ এক জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি তেজপাতাও চাষ করা যায়।”

লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব জানান, কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় অনেক কৃষক তেজপাতা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিলে আরও অনেক কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন