আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় কোরবানির পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য খামার, যেখানে দেশি ও বিদেশি জাতের গরু পরিচর্যায় দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন খামার মালিক ও কর্মচারীরা।
ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের শিমু ডেইরি খামার এর মালিক মুজিবুর রহমান জানান, ২০১২ সালে শখের বসে গরু পালনের শুরু করলেও বর্তমানে এটি একটি সফল খামারে রূপ নিয়েছে। চলতি বছর খামারে ৭টি উন্নত জাতের ষাঁড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
মুজিবুর জানান, তাঁর খামারে কোনো প্রকার কৃত্রিম ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। দেশীয় খাদ্য যেমন নিজস্ব চাষের ঘাস, বিচালি, খৈল, ভুসি ও ভুট্টা খাইয়েই গরুগুলোর পুষ্টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে এবং প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা খামারে এসে গরু দেখে যাচ্ছেন।
খামারের গরুগুলোর ওজন ৭০০ কেজি থেকে শুরু করে ১ হাজার কেজি পর্যন্ত। মুজিবুর জানান, তাঁর গরুগুলো সম্পূর্ণ হালাল উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের কাছে একটি বড় পজেটিভ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধ থাকলে আমাদের মতো দেশীয় খামারিরা আরও লাভবান হতে পারব।” ক্রেতাদের সুবিধার্থে খামার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে এবং পছন্দ অনুযায়ী দামদর করে গরু কেনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে নবীনগরের খামারগুলো দিন দিন আরও সুসংগঠিত ও লাভজনক হয়ে উঠছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এসব খামার কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।