দেশের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্টস (বিওপি) ঘাটতি বড় পরিসরে হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৬ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৫৭ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, এই উন্নতির মূল চালিকাশক্তি ছিল রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি। এই সময়ে রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। একই সময়ে রেমিট্যান্স বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।
সঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২৯ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫.৮০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী এই অঙ্ক ২০৫৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮৫ কোটি ডলার বেশি।
এছাড়া চলতি হিসাবে ঘাটতি নেমে এসেছে ১৩৯ কোটি ডলারে, আর আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৯৬ কোটি ডলারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই উদ্বৃত্ত রিজার্ভ ধরে রাখা ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।
বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের বর্তমান ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে সামষ্টিক অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং বিওপি ঘাটতি পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।