কাতারে চারদিনের সরকারি সফর শেষে এবার জাপান সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৮ মে তিনি টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সেখানে তিনি ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন।
ঢাকা ও টোকিওর কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, কারিগরি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি সফরে একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
সফরের অংশ হিসেবে ২৯ ও ৩০ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য ‘নিক্কিই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’ আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। নিক্কেই গ্রুপের আমন্ত্রণে আয়োজিত এই ফোরামে এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নেতৃত্বের সমবেত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এই ফোরামের ফাঁকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের অনুরোধ করলে দেশটি সম্মতি জানায়। এর পর থেকেই সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়। চলতি সপ্তাহেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপানের বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জাপানে রপ্তানি হয় প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য এবং আমদানি হয় প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের পণ্য।
এ সফরের আগে মে মাসের মাঝামাঝি টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
নিক্কেই ফোরামে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, লাওসের প্রেসিডেন্ট থংলাউন সিসুলিথ, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট, পালাউয়ের প্রেসিডেন্ট সুরাঞ্জেল হুইপস জুনিয়র এবং সিঙ্গাপুরের উপপ্রধানমন্ত্রী জেন কিম ইয়ংয়ের। সম্মেলনের ফাঁকে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
