অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সবসময়ই স্পষ্টভাষী এবং প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার সরব ভূমিকা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং রাজপথে উপস্থিতি তাকে আরও দৃঢ় অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। কিছুদিন আড়ালে থাকার পর, আবারও দৃপ্তভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বাঁধন লেখেন, “আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম—আমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি।”
তিনি আরও লেখেন, “আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের। কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।”
এর আগের দিন, অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার ঘটনায় তিনি প্রতিবাদ জানান। বাঁধন বলেন, “ইরেশ যাকের সবসময় সত্যের পক্ষে ছিলেন। সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন, ছাত্রদের পাশে ছিলেন। ৪ আগস্ট কারফিউ ঘোষণার সময় আমরা একসঙ্গে শাহবাগে ছিলাম। সেদিন গণভবনে যাওয়ার চাপ ছিল প্রবল, কিন্তু ইরেশ যাকের সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আজ তাকে হেনস্তা হতে দেখা হৃদয়বিদারক।”
বাঁধনের এই প্রতিবাদী অবস্থান এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা অনেক তরুণ ও অনুসারীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। তার ব্যক্তিগত জীবনের সাহসী সিদ্ধান্তের মতোই রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান তাকে একটি স্বতন্ত্র ও সাহসী কণ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।