আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগে আবারো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার দুপুর ১টার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বোর্ড কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আরও লম্বা সময় ধরে চলতে পারে এই প্রক্রিয়া। আজকের অভিযানের মূল বিষয় ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম এবং বিসিবির গঠনতন্ত্র ও অন্যান্য আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ। এসব বিষয়ে আমরা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কিছু রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করব এবং বক্তব্য গ্রহণ করব।”
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। সে সময়ও অভিযোগ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি বিসিবির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে বিসিবি ও সরকারি অর্থের অপব্যবহার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিপিএলের আগের ৮ আসরে টিকিট বিক্রির আয় ছিল ১৫ কোটি টাকা। অথচ এবারের ১১তম আসরেই আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। বিষয়টি ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিপিএলে বিসিবির আর্থিক অনিয়মের সন্দেহ জোরালো করছে। মাসখানেকের ব্যবধানে আবারও বিসিবিতে অভিযান পরিচালনা করল দুদক।