ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও জনতার প্রতিরোধ আন্দোলনে সরাসরি গুলি করে মানুষ হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ঘটনায় উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত মিলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। একাধিকবার অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে খসড়া প্রতিবেদনে। খুনিদের আর পার পাওয়ার সুযোগ নেই।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওই প্রতিবেদনে গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ ও উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। কখনো সরাসরি, আবার কখনো টেলিফোনে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেই নির্দেশ বাস্তবায়নও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপ থেকে জানা গেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আইনের পরিভাষায় এ ধরনের গণহত্যার ক্ষেত্রে ‘সুপেরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা এবং গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।