ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে আয়োজন করা হয় নানা রকম ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, লং ক্রিকেট, মিনি ক্রিকেট, রশি টানাটানি, কাবাডি, নানা-নাতির খেলা, বালিশ খেলা, সিনিয়র বনাম জুনিয়র খেলা- এমন শতাধিক ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখা যায় দেশের বিভিন্ন গ্রামে। এসব খেলা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং ঈদের ছুটিতে গ্রামের মানুষকে একত্রিত করার এক বিশেষ উপলক্ষও বটে।
টাঙ্গাইলে ঈদের আনন্দে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে নারীদের কাবাডি খেলা, যা উপভোগ করতে ছুটে এসেছে হাজারো দর্শক। চুয়াডাঙ্গায় আয়োজন করা হয় চোখ বেঁধে হাঁস ধরা ও বস্তা দৌড় প্রতিযোগিতা। বরিশালে হয় রশি টানাটানি আর হা-ডু-ডু খেলা, আর চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাইট মিনি ক্রিকেট ম্যাচ।
এসব আয়োজন গ্রামীণ সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। খেলাগুলোতে যেমন থাকে টানটান উত্তেজনা, তেমনি থাকে আনন্দ ও মিলনমেলা। অনেকেই মনে করেন, এমন আয়োজন নিয়মিত হলে তা মাদক, সন্ত্রাস ও নানা সামাজিক ব্যাধি দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সরকার ও প্রশাসনও গ্রামীণ খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন, যাতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি টিকে থাকে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও তা জানতে ও উপভোগ করতে পারে।