সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে জেলার নদনদী ও হাওর অঞ্চলের পানিপ্রবাহ বাড়ছে। গত ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের চেরাপুঞ্জি ও মাওসিনরামের পাহাড়ি ছড়াগুলো দিয়ে প্রচণ্ড বেগে পানি নেমে আসছে।
ফলে জেলার মধ্যনগর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী নদীগুলো—যেমন সুমেশ্বরী, যাদুকাটা, চেলা, সোনালীচেলা ও খাসিয়ামারা নদীতে পানি বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারা ও যাদুকাটা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মে মাসের শুরুতে হাওরের ফসল কাটা শেষ হলেও বৃষ্টির অভাবে হাওরগুলো ছিল পানিশূন্য। কিন্তু সাম্প্রতিক নিম্নচাপের ফলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠায় ভারী বৃষ্টিতে হাওরে পানি বাড়তে শুরু করেছে।
গত ৭ দিনে সুনামগঞ্জে মোট ৫৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ মে একদিনেই রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৯৮ মিলিমিটার। ভারতের মেঘালয়ের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ৬ জুন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এখনো বন্যার আশঙ্কা নেই। আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।