Ridge Bangla

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি

১. জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।
২. সম্প্রীতির ভিত্তিতে একটি রেইনবো-ন্যাশন প্রতিষ্ঠা এবং ‘জাতীয় সমন্বয় কমিশন’ গঠন।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
৪. আইনসভা, মন্ত্রিপরিষদ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য স্থাপন।
৫. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের মেয়াদ অনধিক দুই পরপর মেয়াদে সীমাবদ্ধ করা।
৬. জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আইনসভায় একটি উচ্চকক্ষ প্রবর্তন।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির সংশোধন।
৯. রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠন ও শক্তিশালীকরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
১০. বিচারব্যবস্থার সংস্কারে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন এবং বিচারপতি নিয়োগে পৃথক আইন প্রণয়ন।
১১. গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১২. তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে মিডিয়া কমিশন গঠন।
১৩. দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
১৫. আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গঠনে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১৬. ধর্মীয় স্বাধীনতা সর্বোচ্চ ও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করা।
১৭. মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা।
১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন।
১৯. জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
২০. প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা।
২১. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণ, স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।
২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান।
২৩. কর্মসংস্থান অগ্রাধিকার দিয়ে যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং বেকার ভাতা চালু।
২৪. নারীর মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
২৫. জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে ভবিষ্যতের উপযোগী শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নিশ্চিত করতে সার্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থা গঠন এবং প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা।
২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তা দিয়ে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
২৮. সড়ক, রেল, নৌ ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
২৯. জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নদীশাসন ও খাল খননের উদ্যোগ।
৩০. তথ্য-প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা ও আণবিক শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৩১. যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব আবাসন ও নগরায়ণ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

আরো পড়ুন