ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পঞ্চকুলা জেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সেক্টর ২৭ এলাকার একটি তালাবদ্ধ গাড়ির ভিতরে একই পরিবারের সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাড়ির বাইরে বসে ছিলেন ৪২ বছর বয়সী প্রবীণ মিত্তাল, যিনি বিষপান করেছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
মৃতদের মধ্যে ছিলেন প্রবীণ মিত্তালের বাবা-মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। প্রবীণ স্থানীয়দের জানান, তাঁর পরিবার আত্মহত্যা করেছে এবং তিনিও অচিরেই মৃত্যুবরণ করবেন। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পরিবারের সবাই বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের ধারণা, চরম আর্থিক সংকট ও ঋণের চাপে পড়ে এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবারটি। মৃত ব্যক্তিরা উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন জেলার বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি তারা হরিয়ানায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।
গাড়ির ভেতর থেকে বিষের বোতল ও একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে যে, পরিবারটি অর্থনৈতিক চাপে ভেঙে পড়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “আমি দেখি ছয়জন একসঙ্গে শুয়ে আছে, তারা একে অপরের গায়ে বমি করেছে। গাড়ি থেকে প্রচণ্ড গন্ধ বের হচ্ছিল। আমি পাশের লোকটিকে সরিয়ে জিজ্ঞেস করি কী হয়েছে। তিনি জানান, তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন এবং তিনিও কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাবেন। তিনি জানান, তিনি প্রচণ্ড ঋণের চাপে ছিলেন।”
পঞ্চকুলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হিমাদ্রি কৌশিক এবং আইন-শৃঙ্খলা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অমিত দাহিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন। মরদেহগুলো একটি বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।