Ridge Bangla

বজ্রপাতের সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

তীব্র গরমে স্বস্তি এনে দেয় এক পসলা বৃষ্টি। কিন্তু এই স্বস্তির বৃষ্টির সাথে আসা বজ্রপাত অনেক সময় প্রাণঘাতী বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি অপর্যাপ্ত আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং বড় গাছের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন।

সাধারণত মার্চ থেকে জুন এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। আবহাওয়াবিদরা বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা বছরে ২০ জনেরও কম।

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:

১. ঘন বজ্রপাতের সময় খোলা বা উঁচু স্থানে না থেকে পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নেওয়া উচিত।
২. উঁচু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি বা তারের কাছাকাছি না যাওয়া।
৩. বাড়ির ভেতরে জানালার পাশে না দাঁড়িয়ে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা।
৪. ধাতব কল, রেলিং, পাইপ, ল্যান্ডলাইন ফোন ইত্যাদি স্পর্শ না করা।
৫. বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে দূরে থাকা এবং প্লাগ খুলে রাখা।
৬. গাড়ির ভেতরে থাকলে ধাতব অংশ স্পর্শ না করে ছায়াযুক্ত স্থানে গাড়ি রাখা।
৭. উঁচু জায়গা বা মাঠে থাকলে নিচু হয়ে বসা, ছাদ থেকে দ্রুত নামা।
৮. পুকুর বা জলাবদ্ধ জায়গা থেকে দূরে সরে যাওয়া।
৯. খোলা জায়গায় থাকলে পরস্পর ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে থাকা।
১০. কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসা, কিন্তু মাটিতে না শোয়া।
১১. চুল খাড়া হয়ে যাওয়া বা শরীরে বিদ্যুৎ অনুভব করলে বজ্রপাতের প্রস্তুতি নেওয়া।
১২. রাবারের বুট পরা, খালি পায়ে না থাকা।
১৩. বাড়িতে সঠিকভাবে আর্থিং রড সংযুক্ত করা।
১৪. কেউ বজ্রাহত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া।

এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।

আরো পড়ুন