নীলফামারীর কচুকাটা ইউনিয়নে যেখানে এক সময় আঙুর চাষ ছিল কল্পনার বাইরে, সেখানে আজ সফলভাবে মিষ্টি ও রসালো আঙুর উৎপাদন করে আলোচনায় এসেছেন উদ্যোক্তা এ.আর. মামুন। তিন বছর ধরে নিজের নার্সারিতে গবেষণা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ছয়-সাতটি বিদেশি জাতের লাল, সবুজ ও বেগুনি আঙুর চাষে সফলতা পেয়েছেন তিনি।
মামুনের নার্সারিতে থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো আঙুর। দূরদূরান্ত থেকে উৎসুক মানুষ ছুটে আসছেন এই ব্যতিক্রমী চাষ দেখতে। মামুন জানান, গত সেপ্টেম্বরে তিনি ২২টি জাতের আঙুর চারা রোপণ করেন, যার মধ্যে ছয়-সাতটি জাত থেকে ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতিটি গাছে গড়ে ২০–৩০টি থোকা ধরেছে, প্রতিটি থোকার ওজন ৩০০–৫০০ গ্রাম এবং সব আঙুরই মিষ্টি—কোনো টকভাব নেই।
তার লক্ষ্য হলো দেশীয়ভাবে আঙুর উৎপাদন ছড়িয়ে দিয়ে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো। মামুন বলেন, “এই আঙুর সারা দেশে ছড়িয়ে দিলে কৃষিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
জয় সরকার নামে একজন কর্মী জানান, “বিদেশি জাত হওয়ায় আঙুরে বিশেষ যত্ন দরকার হয়। নিয়মিত সেচ, সঠিক সার ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়া গেছে।”
জেলা কৃষি কর্মকর্তা ডা. এস.এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, “নীলফামারীর দো-আঁশ মাটি ফল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। শিগগিরই এই আঙুর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”