নড়াইল সদর উপজেলার চিত্রা এগ্রো ফার্মে লালন-পালন করা হয়েছে একটি বিশাল আকৃতির ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩৫ মণ ওজনের এই ষাঁড়টি ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
কালো রঙ, সুঠাম দেহ, ৬ ফুট উচ্চতা এবং ১১ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে ঘিরে প্রতিদিন ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
ফার্মের মালিক মিল্টন হোসেন সিকদার জানান, তিনি গত চার বছর ধরে সন্তানের মতো ভালোবাসা দিয়ে এই গরুটিকে বড় করেছেন। গরুটির বয়স প্রায় সাড়ে ৪ বছর এবং এর ৬টি দাঁত রয়েছে। প্রতিদিন গরুটিকে খড়, কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খেসারি ও জবের মিশ্রণে তৈরি বিশেষ ভুসি খাওয়ানো হয়।
গরমের দিনে ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে দিনে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ও সাবান দিয়ে গোসল করানো হয়। এছাড়া তার থাকার স্থানে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান ও আলো চালু রাখা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, গরুটির স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। নড়াইল জেলায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৯টি হাট ও ৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে, যারা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অবৈধ উপায়ে মোটাতাজাকরণ ঠেকাতে সচেষ্ট।
এদিকে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ এখন ঈদ বাজারে সবচেয়ে আলোচিত ও কাঙ্ক্ষিত গরু হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।