নয় দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে থেকে ২০২৩-২৫ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) শেষ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দুই বছরের এই চক্রে ৪টি টেস্ট ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ দল পাচ্ছে ৭২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সমান।
২০২৩–২৫ আসরের ফাইনাল সামনে রেখে আজ আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০১৯–২১ এবং ২০২১–২৩ চক্রে অংশ নেওয়া ৯ দলের জন্য মোট প্রাইজমানি ছিল ৩.৮ মিলিয়ন ডলার, যা এবার বেড়ে হয়েছে ১২ মিলিয়ন ডলার।
এই চক্রে বাংলাদেশ খেলেছে মোট ১২টি টেস্ট ম্যাচ, যার মধ্যে জয় এসেছে ৪টিতে। এর মধ্যে তিনটি জয় এসেছে বিদেশের মাটিতে—পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে হারিয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়ে। এছাড়া ঘরের মাঠে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নজর কাড়ে টাইগাররা।
চলতি চক্রে দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে তারা চক্র শেষ করেছে ৬৯.৪৪ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে। আগের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৬৭.৫৪ শতাংশ পয়েন্ট। ভারত বেশিরভাগ সময় তালিকার শীর্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে।
চূড়ান্ত লড়াই ১১-১৫ জুন, লর্ডসে—অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে আইসিসি একটি প্রোমোশনাল ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। ভিডিওটিতে ‘দ্য আলটিমেট টেস্ট’-এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ফাইনালে জয়ী দল পাবে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের যেকোনো আসরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। রানার-আপ দল পাবে ১.৮ মিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থান অর্জন করা ভারত পাচ্ছে ১.৪৪ মিলিয়ন ডলার এবং চতুর্থ স্থান পাওয়া নিউজিল্যান্ড পাবে ১.২ মিলিয়ন ডলার। পঞ্চম থেকে নবম স্থান পাওয়া দলগুলোর জন্যও প্রাইজমানি নির্ধারণ করা হয়েছে—ইংল্যান্ড ৯ লাখ ৬০ হাজার, শ্রীলঙ্কা ৮ লাখ ৪০ হাজার এবং বাংলাদেশ ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার পাবে।