মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক রাতের কাতার সফর নতুন এক কূটনৈতিক মাত্রা যোগ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কাতার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কৌশলগত মিত্রে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্র ও হামাসের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
কাতারের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কও ওয়াশিংটনের জন্য একদিকে যেমন গোপন বার্তা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করে, তেমনি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই সফরের মাধ্যমে তেহরান-সংক্রান্ত বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের শান্তিচুক্তিতেও কাতার মধ্যস্থতার ভূমিকা রেখেছিল, যা আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম করেছিল।
তবে ট্রাম্পের সফর শুধু কূটনৈতিক স্তরেই সীমাবদ্ধ নয়। দোহার উত্তরে তার মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল গল্ফ রিসোর্ট নির্মাণ পরিকল্পনা এবং কাতার সরকারের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বিশেষ করে কাতারের পক্ষে কাজ করা সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে এনেছে সফরের উদ্দেশ্য।
আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি বিলাসবহুল বিমান উপহারের গুঞ্জন, যা ট্রাম্প ভবিষ্যতে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন—এটি আইনি, নৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত জটিলতা তৈরি করেছে।
এই সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের ছোট পরিসরের দোহা সফর কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।