Ridge Bangla

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্ববৃহৎ সমাবর্তন আজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ সমাবর্তন। পঞ্চম এই সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২২ হাজার ৫৯৭ জন গ্র্যাজুয়েট। কালো গাউন ও টুপি পরে নিজেদের স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত উদযাপন করবেন তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। তিনি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার প্রথম নিজ জেলা সফর।

এবারের সমাবর্তনে ৪২ জন পিএইচডি ও ৩৩ জন এমফিল ডিগ্রিও প্রদান করা হচ্ছে। ৯ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ক্যাম্পাসজুড়ে ফুলে ফুলে সজ্জিত গাছ, আলোকসজ্জা, আর গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে উঠেছে পরিবেশ।

সমাবর্তনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দেড় লাখ স্কয়ার ফুটের প্যান্ডেল। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১০০টি বাসে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসছেন। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আগের দিনই চলে এসেছেন।

সমাবর্তনের গ্রাফিক ডিজাইন ও পোশাকে স্থান পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নানা চিত্র, যার মধ্যে রয়েছে শহীদ আবু সাঈদের প্রতিকৃতিও। প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছেন উপাচার্যের স্বাক্ষরিত ব্যতিক্রমী সনদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বিদ্যুৎ ও খনিজ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম এবং ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য।

সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। দুপুরের খাবার কুপনের মাধ্যমে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে বিতরণ করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের দুপুর ১টার মধ্যে মূল প্যান্ডেলে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। এর আগে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৮ ও ২০১৬ সালে।

আরো পড়ুন