খাদ্যনিরাপত্তা বলতে বোঝায় সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্যের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ আজ খাদ্যসংকটে রয়েছে। এমনকি সবচেয়ে সস্তা চাল কিংবা সবজি কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
জাতিসংঘ ও ইউনিসেফের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে ২৩.৬ শতাংশ খর্বকায় এবং ২২.৬ শতাংশ শিশু কম ওজনে জন্ম নেয়। প্রায় ২৮ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি তিন শিশুর মধ্যে দুইজনই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না।
২০১৬ সালে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৩.৭৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের নভেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশে। যদিও আয় কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে দেশের প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষ দিনে তিন বেলা খাবার পাচ্ছে না।
এই সংকট মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে কিছু নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন:
-
আমদানি শুল্ক হ্রাস
-
টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ
-
কৃষিতে ভর্তুকি বৃদ্ধি ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ
-
সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমানো
-
বিনা সুদে কৃষিঋণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের সামগ্রিক খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।