Ridge Bangla

জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষকদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। পাশাপাশি, আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বেই শতভাগ উৎসব ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (১০ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব শামীম আল মামুন জুয়েল।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিটিএ’র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার, হারুনুর রশিদ মজুমদার, শাজাহান খান, উপদেষ্টা আলী আহামেদ, রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সহসভাপতি বেগম নূরুন্নাহার, অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান প্রামাণিক, মহিউদ্দিন, সুনীল বরন হালদার, ইকবাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। অথচ তাদের বেতন-ভাতায় রয়েছে চরম বৈষম্য। তারা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। একই শিক্ষাক্রমে পাঠদান করেও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের তুলনায় তারা বঞ্চিত।

সমাবেশে শিক্ষক-কর্মচারীরা ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ:

১. শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ
২. শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ
৩. আসন্ন ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান
৪. বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীতকরণ
৫. এমপিওভুক্তদের জন্য সার্বজনীন বদলি প্রথা চালু
৬. পেনশন প্রথা চালু
৭. চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ
৮. শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন
৯. ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্তি
১০. শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন
১১. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা

সমাবেশ শেষে শিক্ষক নেতারা জানান, এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যেতে তারা বাধ্য হবেন।

আরো পড়ুন