পাবনার ঈশ্বরদীতে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে ধাপে ধাপে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি, শুক্রবার (৯ মে) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ ডিগ্রিতে এবং শনিবার তা আরও বেড়ে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। এ অবস্থায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্যের খরতাপে শহর, গ্রাম, রাস্তাঘাট—সবখানে যেন আগুন ঝরছে। পিচঢালা সড়ক যেন রীতিমতো জ্বলন্ত উনুনে পরিণত হয়েছে।
তীব্র গরমে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে, অথচ জীবিকার তাগিদে থেমে নেই মানুষের চলাফেরা। ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই শ্রমজীবী মানুষের। প্রচণ্ড গরমে শহরের রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ও যানবাহনের চলাচল তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।
এ অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কৃষিবিদ মোছা. আকলিমা খাতুন পোল্ট্রি খামারিদের সতর্ক করে বলেন, আগামী তিন থেকে পাঁচ দিন তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে, যা মুরগির জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। মুরগি স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফগার কুলিং স্প্রে, ফ্যান বা সাধারণ স্প্রে মেশিন দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় একবার করে সেডের ভিতরে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানিতে ভিটামিন ‘সি’ ও ইলেক্ট্রোলাইট মেশানোর পাশাপাশি এই সময় দানাদার খাদ্য বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহেদুল শাহরিয়ার শিশির জানান, এই তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বেশি করে পানি, ডাবের পানি ও লেবুর শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে ঠান্ডা স্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।