পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে ১০০ মেগাওয়াট পিক (MWp) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি, ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেড এবং গ্রিন পাওয়ার এশিয়া।
বুধবার রাজধানীর রবির করপোরেট অফিসে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রবির চিফ টেকনোলজি অফিসার পেরিহান এলহামী আহমেদ মেতাওয়েহ, ফ্লোসোলারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাসেম খান এবং গ্রিন পাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের হেড অব ইকনোমিক ডিপার্টমেন্ট জুলিয়েন দুয়ে, এ.কে. খান অ্যান্ড কোম্পানির চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাশেম খানসহ রবি ও ফ্লোসোলারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চুক্তির আওতায় একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল (এসপিভি) গঠন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। রবি কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিপিপিএ) এর মাধ্যমে নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী এই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কিনবে। প্রাথমিকভাবে মাতারবাড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকার আশপাশের অঞ্চলগুলো সম্ভাব্য স্থানের তালিকায় রয়েছে।
সরকারের প্রস্তাবিত মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নীতিমালার আওতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে, যা বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিক্রির সুযোগ করে দেবে। প্রকল্পটি বিল্ড-ওন-অপারেট (BOO) মডেলে পরিচালিত হবে।
রবি জানায়, তাদের প্রয়োজন মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, বাকি ৭০ মেগাওয়াট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা জাতীয় গ্রিডে বিক্রি করা হবে। এই সৌর প্ল্যান্ট বছরে আনুমানিক ৬৮,২০০ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৯ মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।