লিচুর জন্য খ্যাত পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার সময়ের আগেই বাজারে উঠেছে অপরিপক্ব লিচু। বেশি দামে বিক্রির আশায় অনেক বাগান মালিক পরিপক্ব হওয়ার আগেই লিচু তুলে বাজারে ছাড়ছেন। ফলে একদিকে যেমন ভোক্তারা স্বাদ ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে দামও গড়ে চড়া।
রেলগেট এলাকার রহিম নামের এক বিক্রেতার দোকানে দেখা গেছে, অপরিপক্ব লিচু প্রতি ১০০টি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈশ্বরদীর জয়নগর, সাহাপুর, বক্তারপুর, রূপপুর, ছলিমপুর, আওতা পাড়া ও বাঁশেরবাদা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ গাছে মুকুল আসেনি বা ফলন খুবই কম।
৬২ বছর বয়সী জয়নগরের বাগান মালিক ফয়সাল ইসলাম বলেন, তার ১১০টি গাছ রয়েছে। গত বছর এই বাগান ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করলেও এবার ফলন না থাকায় এক টাকাও আয় হয়নি। তিনি হতাশ হয়ে বলেন, “এমন খারাপ ফলন এর আগে কখনও দেখিনি।”
উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঈশ্বরদীতে প্রায় ৩,১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়। এখান থেকে মোজাফ্ফর, বোম্বাই, চিলি বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, “লিচুর গুণগত মান বজায় রাখতে কমপক্ষে আরও ১০ দিন পরে বাজারজাত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অপরিপক্ব লিচু খেলে স্বাদ, পুষ্টিগুণ এবং ওজন সবকিছুতেই কমতি থাকবে।”
কৃষিবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈরী আবহাওয়া ও পরাগায়নে সমস্যা হওয়ায় এবারের ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।