যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চাপের মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি। এর মধ্যে অন্যতম অ্যাপল, যাদের আইফোনের সিংহভাগ উৎপাদিত হয় চীনের বিভিন্ন কারখানায়। চীনের ওপর মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে অ্যাপলকে এখন বিকল্প উৎপাদন ঘাঁটি খুঁজতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) অ্যাপলের সিইও টিম কুক ঘোষণা দিয়েছেন, এবার থেকে আমেরিকার বাজারের জন্য একটি বড় অংশের আইফোন ভারতের কারখানায় তৈরি হবে।
বর্তমান মার্কিন প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও সমপরিমাণ শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকান পণ্যের ওপর। যদিও কিছু সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিক পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তবে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, সেই ছাড়ও শিগগিরই বাতিল হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনে উৎপাদিত আইফোনে এই শুল্ক কার্যকর হলে প্রতিটি ইউনিটের দাম ২,৫০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে, যা সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে। এই বাস্তবতায় অ্যাপলের পক্ষে ভারতের মতো তুলনামূলক সাশ্রয়ী উৎপাদন কেন্দ্র বেছে নেওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
টিম কুক জানান, প্রথম প্রান্তিকে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতির তেমন প্রভাব না পড়লেও, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এভাবে চলতে থাকলে কোম্পানিকে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ কারণেই অ্যাপল তাদের কিছু উৎপাদন ভিয়েতনাম এবং ভারতের দিকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে অ্যাপল এখনই চীনের কারখানা বন্ধ করছে না। কুক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যেসব বাজারে অ্যাপল পণ্য বিক্রি করে, সেসবের উৎপাদনের বড় অংশ এখনও চীনেই হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও, চীনে অ্যাপলের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।