গর্ভাবস্থায় সহবাস সাধারণত নিরাপদ, বিশেষ করে যদি গর্ভাবস্থা সুস্থ এবং জটিলতামুক্ত হয়। কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও সতর্কতা অনুসরণ করলে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ থাকেন। এখানে গর্ভাবস্থায় সহবাসের উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয় নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
গর্ভাবস্থায় সহবাসের উপকারিতা
-
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় সহবাস রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরকে আরও সক্রিয় এবং সতেজ রাখে।
-
মানসিক প্রশান্তি: সহবাসের সময় নিঃসৃত এন্ডরফিন হরমোন মায়ের মানসিক প্রশান্তি আনে এবং শিশুর মুডও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
-
সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি: দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া ও ঘনিষ্ঠতা আরও গভীর হয়।
-
ইমিউনিটি বুস্ট: নিয়মিত যৌন সম্পর্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
-
স্ট্রেস হ্রাস: সহবাস মানসিক চাপ কমাতে এবং ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে।
নিরাপদ সহবাসের নিয়ম
-
পজিশন নির্বাচন: এমন অবস্থান বেছে নিন যেখানে পেটে চাপ পড়ে না।
-
অস্বস্তি হলে বিরতি: সহবাসের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি হলে সাথে সাথে থেমে যেতে হবে।
-
পেটের উপর চাপ এড়ানো: পেটের উপর কোনো ধরণের চাপ পড়া উচিত নয়, তাই পজিশন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি কোনো জটিলতা বা বিশেষ পরিস্থিতি থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষ সতর্কতা
-
রক্তপাত, ব্যথা বা জলভঙ্গের মতো উপসর্গ দেখা দিলে সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত।
-
প্লাসেন্টাজনিত সমস্যা, পূর্বের গর্ভপাতের ইতিহাস বা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া সহবাস করা উচিত নয়।
গর্ভাবস্থায় সহবাসের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে, তবে সবসময় মায়ের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।