গর্ভাবস্থায় সহবাসের কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। এই সময় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা শরীরকে সক্রিয় ও সতেজ রাখে। পাশাপাশি, সহবাসের ফলে এন্ডরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মায়ের মানসিক প্রশান্তি আনে। এছাড়া, এটি সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তবে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ধাপে কিছু সতর্কতা অনুসরণ করা জরুরি:
কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত
-
গর্ভাবস্থার শুরু বা শেষ পর্যায়ে রক্তপাত বা তীব্র পেটে ব্যথা হলে।
-
গর্ভফুল (প্লাসেন্টা) নিচে থাকলে।
-
ডাক্তার যদি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে গর্ভাবস্থায় সহবাস
ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাসে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মাসিক ও রোজার সময় সহবাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
-
সঠিক অবস্থান ও নিয়ম মেনে সহবাস করা উচিত।
-
প্রতিটি গর্ভাবস্থার পরিস্থিতি আলাদা, তাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
-
গর্ভাবস্থায় সহবাসের আগে এবং পরে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ গর্ভকালীন ধাপ ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর নিয়ম ভিন্ন হতে পারে।