দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অধস্তন আদালতের ১৫ বিচারকের সম্পদের বিবরণ এবং ব্যক্তিগত নথির তথ্য চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এদের অধিকাংশই ঢাকা সিএমএম কোর্টে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে এক রিটের শুনানিতে অ্যাডভোকেট শিশির মনির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এসব বিচারক আইন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তদবির শুনানির দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে জানানো হয়, সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সাবেক এসিএমএম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, তারা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ গ্রহণ এবং অপরাধমূলক অসদাচরণসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আরও ১৫ জন বিচারকের সর্বশেষ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী, ব্যক্তিগত নথির ফটোকপি এবং ডাটাশিটের সত্যায়িত অনুলিপি ২৯ এপ্রিলের মধ্যে পাঠাতে হবে।
এই অনুসন্ধানে সহায়তা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ মাল মামুনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল।
চিঠিতে যেসব বিচারকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—
-
কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব
-
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার
-
সিলেটের সাবেক জেলা জজ মনির কামাল
-
অতিরিক্ত চিফ ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন (ঢাকা)
-
মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম
-
গাজীপুরের সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাইসারুল ইসলাম
-
নরসিংদীর সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম
-
ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস
-
শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক জজ কামরুন নাহার রুমি
-
ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ শওকত হোসেন
-
সিরাজগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ
-
হাবিগঞ্জ জেলা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী