যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি বাতিল হওয়া ৩২৭টি শিক্ষার্থী ভিসার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বলে জানিয়েছে আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ অ্যাসোসিয়েশন (AILE)। এছাড়া চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ শতাংশ এবং অবশিষ্ট ভিসা বাতিলের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও রয়েছে।
AILE-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কতজন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও, দেশটির শিক্ষার্থীরাও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ও স্নাতকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এসব তথ্য উঠে এসেছে স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ইনফরমেশন সিস্টেম (SEVIS)-এর সর্বশেষ হালনাগাদে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। ইতোমধ্যে ৪০টি রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেরও প্রভাব থাকতে পারে। উল্লেখ্য, গত ১৭ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এবং ইসরায়েল বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করার কারণে কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে কিছু ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে আরও কঠোর নীতির ইঙ্গিত বহন করতে পারে।