প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো চালু করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, “পরামর্শ কমিটি প্রধান শিক্ষক পদে ১০ম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ৪ বছর পর সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি এবং শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছে। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সে অনুযায়ী কাজ করছি।”
রোববার (২১ এপ্রিল) মাগুরা জেলা মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপদেষ্টা জানান, “বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক সহকারী শিক্ষক পদের শূন্যতা রয়েছে। বিধিমালা পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষায় আমরা যোগ্য শিক্ষক পাচ্ছি, প্রশিক্ষণও দিচ্ছি। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে তার প্রতিফলন সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। তাই শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
বদলিজনিত সমস্যা প্রসঙ্গে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক বদলি সমস্যা ছিল, সেটি এখন সমাধানের পথে। মামলার কারণে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নে বিলম্ব হচ্ছে, তবে শিগগিরই এ সমস্যা কাটিয়ে আরও পদায়ন করা সম্ভব হবে।”
তিনি এ সময় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালুর বিষয়েও সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।