গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মারাত্মক ওষুধ প্রয়োগ করে ১৫ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এই ঘটনা জার্মানিতে ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বার্লিনের প্রসিকিউটরদের বরাতে জানা যায়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বয়স ৪০ বছর এবং তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষকে হত্যা করেন। প্রসিকিউটররা আরও জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তাদের ধারণা।
চিকিৎসকটি রোগীদের অজান্তেই কিংবা তাদের সম্মতি ছাড়াই চেতনানাশক ও পেশী শিথিলকারী ওষুধ প্রয়োগ করতেন। এসব ওষুধ শ্বাসযন্ত্রের পেশিগুলোকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে, যার ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীদের শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে।
প্রসিকিউটরদের দাবি, অভিযুক্ত চিকিৎসক কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তার অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করেন।
জার্মানির কঠোর গোপনীয়তা আইনের কারণে অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ স্বীকার করেননি।
জানা গেছে, ওই চিকিৎসক জার্মানির একাধিক রাজ্যে কাজ করেছেন। যেসব মৃত্যুকে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, তাদের বয়স ২৫ থেকে ৯৪ বছরের মধ্যে।