অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও জনগণের শক্তির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। সোমবার ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “গত বছর বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছে। তরুণরাই সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের ছোট আয়তন সত্ত্বেও ১৭ কোটিরও বেশি মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, পাশাপাশি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকেও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা ২১৪ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি, ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি এবং কৃষিকে সবুজ ও আধুনিক করেছি।”
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি যুদ্ধ বন্ধ, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় খাদ্য সরবরাহ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অর্থায়ন, আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক গঠন, তরুণ কৃষকদের সহায়তা, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও প্রযুক্তি সহজলভ্য করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বিশ্বে খাদ্যের ঘাটতি নেই, কিন্তু অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতার কারণেই ক্ষুধা রয়ে গেছে।” আরও বলেন, “আমাদের মুনাফাভিত্তিক অর্থনীতি পরিবর্তন করে সামাজিক ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।”