বাংলাদেশ ও তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্য, শিক্ষা ও শ্রম অভিবাসন খাতে পারস্পরিক সম্পৃক্ততা সম্প্রসারণের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনচির সৌজন্য সাক্ষাতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং চলমান সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি চতুর্থ পর্বের পররাষ্ট্র দপ্তর-পর্যায়ের আলোচনা (এফওসি)-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আলোচনায় উভয় পক্ষ পূর্ববর্তী এফওসির ফলাফল পর্যালোচনা করে এবং বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার নতুন খাত নিয়ে মতবিনিময় করে। তুরস্কের উপ-মন্ত্রী মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রাজনৈতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য নিয়মিত এফওসি আয়োজনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা খাতে নতুন সহযোগিতার সুযোগ খুঁজতে ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময় ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে। শিক্ষাখাতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে বিশেষভাবে তুরস্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুযোগ সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও আলোচনা হয় এবং ফিলিস্তিন জনগণের অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বৈধ সংগ্রামের প্রতি দুই দেশের অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।