Ridge Bangla

বাবা-মা ও স্ত্রীকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ইউপি সদস্যের ভাতা গ্রহণ

রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পলিয়ারার বিরুদ্ধে ভুয়া প্রতিবন্ধী কার্ড তৈরির মাধ্যমে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড গ্রহণকারী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলিয়ারাও ওই একই ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর আলম নিজের বাবা-মা ও স্ত্রীকে শারীরিক প্রতিবন্ধী দেখিয়ে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী সনদ ও ভাতা কার্ড সংগ্রহ করেন। অথচ তারা তিনজনই সুস্থ। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতি মিলে আরও অন্তত ৩০–৩৫ জন অপ্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে একইভাবে কার্ড পাইয়ে দেন বলে জানা গেছে।

এই অনিয়মের বিষয়ে শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিউর রহমান সম্প্রতি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী প্রতিটি কার্ডের জন্য সাত থেকে নয় হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন।

তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী, বাবা-মাসহ সাতজনের ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। বাকি নামগুলোর যাচাই চলছে।

তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, “তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, “যার টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।” তবে তার স্ত্রী পলিয়ারার ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই অনিয়মের কারণে প্রকৃত প্রতিবন্ধী ও অসচ্ছল মানুষরা সরকার নির্ধারিত ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১৪

আরো পড়ুন