দারুণ বোলিংয়ের পর ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়েও শুরুটা ছিল সাবলীল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে বোলাররা নাগালে রাখে আফগানদের। ৯ উইকেট তুলে নিয়ে আটকে রাখে ১৪৪ রানে। জবাবে সাইফ হাসানের ব্যাটে ভর করে ১২ বল থাকতে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই জিতে দম্ভ দেখানো আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে জাকের আলীর দল।
প্রথম দুই ম্যাচে জয় এলেও সব মিলিয়ে দাপটটা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে এসে সে কাঙ্ক্ষিত দাপটটা দেখাল জাকের আলীর দল। ব্যাটে, বলে ও ফিল্ডিংয়ে—কোনো বিভাগেই পাত্তা দিল না আফগানদের। আর তাতেই আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার সাধ পূরণ হলো বাংলাদেশের।
১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরস্থির। ওপেনার পারভেজ হোসেন ১৪ রানে আউট হলেও অপরপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান। পাওয়ারপ্লেতে সাইফের ছক্কায় ম্যাচের গতি বাড়ে। তানজিদ ৩৩ রান করে আউট হওয়ার পর জাকের আলী ও সাইফ দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।
ইনিংসের শেষদিকে সাইফের ব্যাটে আসে ফিফটি, যেটি তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক। আহমেদজাইয়ের ওভারে একাই নেন ১৫ রান, যার একটি ছক্কা গ্যালারির ছাদে গিয়ে পড়ে। সেই ছক্কাই তাকে নিয়ে যায় ৫০ রানের মাইলফলকে। শেষদিকে নুরুল হাসানের ছক্কায় সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
বরং, সাইফের দারুণ দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় দল। দারুণ ছন্দে থাকা সাইফ তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। একের পর এক ছক্কা হাঁকানো সাইফের পুরো ইনিংসে ছিল ৭ ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৬৪ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আফগানদের হয়ে ২৯ বলে ৩২ রান করেন দারুইশ রাসুলি। এছাড়া ২৮ রান আসে সেদিকুল্লাহ আতালের ব্যাটে। বাংলাদেশের হয়ে ১৫ রানে তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এই জয়ে ২০১৮ সালের দেরাদুনে পাওয়া ধবলধোলাইয়ের প্রতিশোধও নিল বাংলাদেশ। সেবার পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আফগানদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০২৩ সালে ২-০ ব্যবধানে রশিদ খানদের সিরিজ হারানো গিয়েছিল বটে, কিন্তু ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শোধটা তোলা হয়নি। অধরা সে শোধটাই বাংলাদেশ তুলল আজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৪৪/৯, ২০ ওভার (রাসুলি ৩২, সেদিকুল্লাহ ২৮; সাইফউদ্দিন ৩/১৫)
বাংলাদেশ: ১৪৫/৪, ১৮ ওভার (সাইফ ৬৪*, তানজিদ ৩৩; মুজিব ২/২৬)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাইফ হাসান
সিরিজ সেরা: নাসুম আহমেদ
