আজ থেকে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের গোয়াহাটিতে পর্দা উঠবে ১৩তম এই আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে, পরশু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের বিশ্বসেরা প্রমাণের লক্ষ্যে এবারের আসরে মাঠে নামবে ৮টি দল।
তিন বছর আগে প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছিল তারা। এবারও পাক মেয়েদের হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করতে চায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। যদিও বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ঘাটতি আছে টাইগ্রেসদের।
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে আগামী ২ নভেম্বর। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৩১টি। টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই সবার বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজের পরিবর্তে মেয়েদের খেলতে হয় অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সাথে। এমন প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েও বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী অধিনায়ক জ্যোতি।
গণমাধ্যমকে টাইগ্রেস অধিনায়ক বলেন, “অবশ্যই আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করে এগোব। আপাতত প্রথম লক্ষ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা। এমনিতেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ পাই না। তবে এত বড় ইভেন্টে সব ভালো দলের বিপক্ষে খেলতে পারলে জয়ও আসবে। সাধ্যমতো চেষ্টা থাকবে ম্যাচ ধরে রেখে খেলার।”
এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ৪ দল খেলবে সেমিফাইনাল। সেখান থেকে বাছাই হবে ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ।
এবার নারীদের বিশ্বকাপে আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি ১৮ জনই নারী। যাদের একজন, বাংলাদেশের সাথিরা জাকের জেসি। ধারাভাষ্যকার তালিকাতেও নারীদের প্রাধান্য।
এর আগে, নারীদের এই বিশ্ব আসরে পারফরম্যান্সে দেখা গেছে শুধুই অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য। আগের ১২ আসরে সর্বাধিক ৭ বার চ্যাম্পিয়ন অজিরা, চারবার ইংল্যান্ড ও একবার নিউজিল্যান্ড।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন পেসার মারুফা আক্তার। প্রথম বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি। মারুফা বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় দলের এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আমি প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। আমি সব সময় চেষ্টা করব দলের জন্য সেরাটা দিতে।”