Ridge Bangla

গরু থেকে মানুষে অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে, রংপুরে আতঙ্ক

রংপুরের পীরগাছায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে মিঠাপুকুর ও কাউনিয়ায়। আইইডিসিআরের পরীক্ষায় পীরগাছার ১২ জনের নমুনার মধ্যে ৮ জনের অ্যানথ্রাক্স ধরা পড়েছে। এতে জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন এবং অন্তত অর্ধশত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ও গৃহিণী কমলা বেগম অসুস্থ গরুর মাংস জবাই ও রান্না করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া মিঠাপুকুরে অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর চারজন চর্মরোগে আক্রান্ত হন।

পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ তানভীর হাসনাত জানান, এখন পর্যন্ত ৫০ জন রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশই অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সরাসরি অ্যানথ্রাক্স কারণ কিনা তা নিশ্চিত নয়। আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরীন জানান, নতুন করে আরও আটজনের নমুনা পরীক্ষা চলছে। রংপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন রুহুল আমিন অসুস্থ গবাদিপশু জবাই না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই মাসে অন্তত এক হাজার গবাদিপশু অ্যানথ্রাক্সে মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, ইতোমধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার পশুকে প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত পশুর রক্ত, মাংস বা নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে মানুষ সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। অথচ রংপুর বিভাগের কোনো হাটেই পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় না, ফলে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ২৩

আরো পড়ুন