ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে দেশের কল্যাণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ। সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউজিসি ও ইউনিসেফ-এর যৌথ উদ্যোগে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। এছাড়া কমিশনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীন এবং ইউনিসেফ-এর এসবিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. বদরুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসবিসি বিষয়ে অভিজ্ঞসম্পন্ন ৩৩ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ বলেন, দেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত আন্তরিক ও মেধাবী। জুলাই আন্দোলন পরবর্তীকালে তরুণ প্রজন্মকে যথাযথ কাজে লাগানো যায়নি। অনেকক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের চেয়ে শিক্ষকদের ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে শিক্ষার্থীবান্ধব করা, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক সুদৃঢ় করাসহ তিনি তাঁর বক্তব্যে একগুচ্ছ পরামর্শ দেন।
প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান বলেন, সামাজিক আচরণ পরিবর্তন (এসবিসি) বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেয়া দরকার। ভার্চুয়াল সমাজ আমাদের জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব রাখছে। এসবিসি কারিকুলামে ভার্চুয়াল সমাজ ব্যবহারের বিষয়টি যুক্ত করা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বলেন, সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) প্রকল্পের আওতায় সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এসবিসি বিষয়ে রিসার্চ রিপোজিটরি, ১২টি কোর্স কারিকুলাম প্রণয়নসহ এ বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব বলেন, সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন অত্যন্ত সময়োপযোগী। সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা ও তা সমাধানের কৌশলগুলো সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন অংশীজনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুষ্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার বলে তিনি জানান।
প্রফেসর আইয়ুব ইসলাম বলেন, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন শাখায় যেমন স্বাস্থ্য, পরিবেশ, শিক্ষা ইত্যাদিতে এসবিসি কারিকুলামের অন্তর্ভুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমিউনিটি এনগেজমেন্টকে অর্থপূর্ণ ও কার্যকর করার জন্য এসবিসি কারিকুলাম আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রয়োজন অনুসারে এসবিসি কারিকুলাম থেকে তাদের প্রয়োজনীয় কোর্সগুলো বেছে নিতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।