মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। গত শুক্রবার তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, একটি চুক্তির দিকে আমরা এগোচ্ছি। আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীর ইসরায়েলকে তিনি দখল করতে দেবেন না। প্রশ্ন উঠছে, যে যুদ্ধ দুই বছর ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চালিয়ে যাচ্ছেন, ট্রাম্প কি এর অবসান ঘটাতে পারবেন? নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান না থামানোর কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
কাতারে হামাসের প্রতিনিধিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার জেরে যুদ্ধবিরতি আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ আশা প্রকাশ করলেন। বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিতে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছে ইসরায়েল। এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ফিলিস্তিন। প্রায় সব বিশ্বনেতাই ইসরায়েলের সমালোচনা করেন। এ অবস্থায় ইসরায়েলের পাশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রেরও নিঃসঙ্গতা ক্রমে বাড়ছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জাতিসংঘে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে হামাসকে জীবিত বা মৃত— সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে; ইসরায়েল অবশ্যই আর কাতারে কোনো হামলা চালাবে না এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য নতুন করে আলোচনা শুরু হবে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে তিনি গ্রেপ্তারের ভয়ে ফ্রান্সের আকাশপথ এড়িয়ে যান। ভাষণের উদ্দেশে কক্ষে প্রবেশের পর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বের হয়ে যান। অনেকটা শূন্য হলেই তাঁকে ভাষণ দিতে হয়েছে। তবু এ ভাষণ লাউড স্পিকার লাগিয়ে গাজার মানুষকে শোনানো হয়।
বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে হামলা চালানো নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানের মানুষকে পশ্চিমা দেশগুলোর শত্রু হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তাঁর ভাষণের সময় জাতিসংঘ ভবনের বাইরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলছিল।