Ridge Bangla

নীলক্ষেতেই ছাপানো হয়েছে ডাকসুর ব্যালট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ব্যালট সর্বোচ্চ গোপনীয়তায় উন্নতমানের ছাপাখানায় তৈরি করা হয়েছে। তবে তদন্তকারী সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নীলক্ষেতের একটি প্রেসেই ব্যালট অরক্ষিতভাবে ছাপানো হয়েছিল।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নীলক্ষেতের জালাল প্রেসে ব্যালট ছাপানোর কাজ সম্পন্ন হয়। প্রেসের মালিক মো. জালাল জানিয়েছেন, এই কাজ তিনি পান মো. ফেরদৌস নামে একজনের মাধ্যমে এবং মাত্র তিন দিনে কাজ শেষ করেন। সেখানে ৪৮ হাজার কাগজে প্রতি কাগজে দুটি করে ব্যালট ছাপা হয়, মোট ৯৬ হাজার ব্যালট। এরপর ৭ নভেম্বর রাতে এসব ব্যালট কাটা হয় ‘মক্কা পেপার কাটিং হাউস’-এ। দোকানের কর্মচারীরা জানান, রাত পৌনে ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে প্রায় ২২ রিম কাগজ কাটা হয়, যার সংখ্যা দাঁড়ায় আনুমানিক ৮৮ হাজার।

এই হিসেবে ছাপানো ও কাটা ব্যালটের মধ্যে প্রায় ৮ হাজারের গরমিল দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনের টেন্ডারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আঞ্জা করপোরেশন দাবি করেছে, তাদের কেরানীগঞ্জের প্রেসে ১ লাখ ৫৩ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “এটি হাইলি স্পেশালাইজড প্রসেস। এক-একটি মেশিনের দাম ৫০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। টেন্ডার করার সময় একমাত্র ব্র্যান্ড আবেদন করেছে।” তবে নীলক্ষেতের বিভিন্ন দোকানে ব্যালট ছাপানোর প্রমাণ পাওয়ার পর তিনি স্বীকার করেন, “যেহেতু প্রমাণ আছে, আমাদের প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।”

এভাবে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট ছাপা ও সংখ্যা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১৬

আরো পড়ুন