Ridge Bangla

গাজার মর্মস্পর্শী ছবি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রদর্শন করলেন এরদোয়ান

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের প্রথম দিনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার বক্তব্যে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। অধিবেশনে তিনি গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মর্মস্পর্শী ছবি প্রদর্শন করে দখলদার ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেন।

এরদোয়ান তার ভাষণে বলেন, “আপনার বিবেককে উপলব্ধি করুন আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। ২০২৫ সালের এমন বর্বরতার জন্য জন্য আমাদের কি যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ আছে? এই লজ্জাজনক ছবি গাজায় হচ্ছে এবং গত ২৩ মাস ধরে বারবার হচ্ছে।” তিনি গাজা যুদ্ধকে মানবতার ক্ষেত্রে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন এবং অপুষ্টিতে ভোগা আরেকটি শিশুর ছবি তুলে ধরে বলেন, “কোন ধরনের মানব বিবেক এটি সহ্য করতে পারে? কীভাবে একজন এ নিয়ে চুপ থাকতে পারে। এমন একটি বিশ্বে যেখানে শিশুরা না খেয়ে আর চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। আমরা কি শান্তি পেতে পারি?”

এদিকে, বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তোও গাজা যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, তবে একই সাথে ইসরায়েলের নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। সুবিয়ান্তো বলেন, “(শান্তির) একমাত্র সমাধান হলো— ইব্রাহিমের বংশধর—আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে পুনর্মিলন। সব ধর্মাবলম্বী যেমন মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ—আমাদের সবাইকে একটি মানব পরিবার হিসেবে একসঙ্গে থাকতে হবে।” তিনি ইন্দোনেশিয়ার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানান।

জাতিসংঘের অধিবেশনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, এটি হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল। তিনি নিজে বিশ্বব্যাপী সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন দাবি করে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, সংস্থাটি কঠোর ভাষায় বিবৃতি দিলেও সে অনুযায়ী কোনো কাজ করে না।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ৩৬

আরো পড়ুন