দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও অবনতির দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। এর মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগে—মোট ৫ জন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জন এবং চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে নারী-পুরুষ সমান সংখ্যক—৬ জন করে রয়েছেন। বয়সভিত্তিক হিসাবে চারজনের বয়স ২৬–৩০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১–৩৫ বছর, আর দুইজনের বয়স ৩৬–৪০ বছরের মধ্যে।
এছাড়াও, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭৪০ জন রোগী। এর মধ্যে—
- বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন
- চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন
- ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৭ জন
- ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২২ জন
- ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫ জন
- খুলনা বিভাগে ৫২ জন
- ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন
- রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন
- রংপুর বিভাগে ৩ জন
- সিলেট বিভাগে ৯ জন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪১ হাজার ৮৩১ জন। এ সময়ের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৮৩ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ফলে এ বছর মোট ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩১ জনে।
তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গিয়েছিলেন ৫৭৫ জন। আর তার আগের বছর ২০২৩ সালে পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়াবহ; আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জনের।